বিশ্বজিৎ পাল (বাংলাটাইমস টুয়েন্টিফোর ডটকম): অদ ও অব্যবস্থাপনায় এক সময়কার লাভজনক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) ক্রমান্বয়ে লোকসানের দিকে এগুচ্ছে। অব্যবস্থাপনার সাথে সাথে ব্যপক অনিয়ম ও দূনীতি বেড়েই চলছে বলে অভিযোগে উঠেছে। যার কারণে প্রতিষ্ঠানটি আজ রুগ্ন হয়ে পড়েছে। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানের কয়েকটি জাহাজ অচল হয়ে পড়া, দীর্ঘদিনেও বিএসসির বহরে নতুন কোন বানিজ্যিক জাহাজ যুক্ত না হওয়া, আন্তর্জাতিক বাজারে জাহাজ ভাড়া কমে যাওয়ায় আগের তুলনায় অর্ধেক খরচ না উঠা এবং অদতা ও অব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠানটি লোকসানের দিকে এগুচ্ছে বলে সংশিষ্ট মহলের ধারনা। গত তিন অর্থ বছরের কোটি কোটি টাকা লোকসান হলেও চলতি অর্থ বছরের এ লোকসানের পরিমান আরো দ্বিগুন হবে বলে জানা গেছে। অচল জাহাজে বসে মার্কিন ডলারে বেতন গুনছেন চুক্তিবদ্ধ নাবিকরা। আয় না থাকায় এফডি আর (ফিক্স ডিপোজিট) একটি অংশ ভেঙ্গে কোম্পানীর কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অকেজো হয়ে আছে ৪ টি জাহাজ। ওই জাহাজগুলোতে বসে বসে নাবিকরা বেতন নিচ্ছেন। প্রতিমাসে দেড় কোটি টাকা এসব নাবিকদের বেতন বাবদ গচ্ছা দিতে হচ্ছে। এদিকে ২০০৯-১০ অর্থ বছরে লোকসান ঢাকতে বিএসসি কর্তৃপ চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারী বার্ষিক সাধারণ সভায় হিসাব বিবরণীতে কৌশলে এফডিআর-এর সুদ যোগ করে লাভ দেখিয়েছে । সংশিষ্টরা বলেছেন, বিএসসির লোকসানের কারণ হিসেবে অনভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গকেই দায়ী করছেন। তাদের মতে, বিএসসি কে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে সমুদ্রগামী জাহাজের একজন অভিজ্ঞ ক্যাপ্টেন প্রয়োজন।
বিএসসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার মতায় আসার পর ১৯ জন কর্মকর্তা এবং ৫৮ জন কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে বিএসসিতে। বর্তমানে কর্মকর্তার সংখ্যা ৬৯ জন এবং কর্মচারীর সংখ্যা ২৬৫ জন। বিদেশী জাহাজের কর্মকর্তাদের বেতন অনেক বেশী হওয়াতে বিএসসির সনদধারী জাহাজী কর্মকর্তাগন বিভিন্ন অজুহাতে বিএসসি ছেড়ে বিদেশী জাহাজে যোগদান করেছেন। ফলে সনদধারী জাহাজী কর্মকর্তাদের প্রকট সংকট দেখা দিয়েছে এবং সংস্থার জাহাজ পরিচালনায় বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। বিএসসির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গত ২০০৭ সালের ২৪ জুন টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর (টিডি) ক্যাপ্টেন আজিজুল হাসানের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ওই বছরের ২৭ জুন ক্যাপ্টেন ওয়াহিদুর রহমান দায়িত্বভার গ্রহন করেন। ওয়াহিদুর রহমান কমার্শিয়াল এবং টেকনিক্যাল বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন সবচেয়ে বেশী অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নৌ কর্মকর্তা বলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তাকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়। এ সময় বিএসসি কাজের চাঞ্চল্যতা বৃদ্ধি পেয়ে লাভের মুখ দেখতে শুরু করে। কিন্ত দু মাসের মধ্যেই মো.সাইদ উল্যাহকে টিডি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হলে সে থেকে এ প্রতিষ্ঠানের পিছুটান শুরু হয়। সংশিষ্টরা বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ক্যাপ্টেন ওয়াহিদুর রহমানকে টিডির চেয়ার থেকে কৌশলে সরিয়ে মো.সাইদ উল্যাহ নিজেই টিডির চেয়ার দখল করতে সমর্থ হয়েছেন। বিএসসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানান, মো. সাইদ উল্যাহ জিএম হিসেবে নিয়োগ পাবারও যোগ্যতা সম্পন্ন নন। কারণ নিয়ম অনুযায়ী একজন জিএম হতে হলে অবশ্যই সমুদ্রগামী জাহাজে চীফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কমপে দু বছর বাস্তব অভিজ্ঞাতা থাকার প্রয়োজন রয়েছে। অথচ মো. সাইদ উল্যাহর সমুদ্রগামী জাহাজের সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ারের অভিজ্ঞাতা রয়েছে। বিএসসির অতীত ইতিহাস খুঁজে দেখা যায় একমাত্র ডেক বিভাগের সর্বোচ্চ পদের অধিকারী ক্যাপ্টেনগনই টিডি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। কখনো মেরিন ইঞ্জিনিয়ার টিডি হিসেবে নিয়োগ পাননি। এর পিছনে অনেক কারণ রয়েছে। শধু ডেক অফিসারগনই শিপিং ল এবং বিজনেস বিষয়ে পড়াশুনা করে থাকেন। কথিত আছে, ইন্টান্যাশনাল মেরিটাইম ল এবং বিজনেস এর উপর অগাধ জ্ঞান না থাকলে টিডি হিসেবে দায়িত্ব পালন সম্ভব নয়।
বিএসসি সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের শেষ দিকে ১০টি জাহাজ চট্টগ্রাম পোর্টে লেইড আপ হয়ে যায়। ২০০৯-১০ অর্থ বছরেও বিএসসি ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়ে। বিএসসির হিসেব বিবরণী প্রস্ততকারী সংশ্লিষ্ট অডিট ফার্মের রিপোর্টে ওই বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। বার্ষিক হিসেব বিবরণীর রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা গেছে, ২০০৯-১০ অর্থ বছরে জাহাজ পরিচালনা করে লোকসান হয়েছে ২৯ কোটি টাকা। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশী হওয়ায় জাহাজ পরিচালনা বাবদ বিএসসির নিট লোকসান হয়েছে ২৯ কোটি ৮১ হাজার টাকা। ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে লোকসান হয়েছে ২৩ কোটি টাকা। কিন্ত অন্যান্য আয়ের বিশেষ করে কর্পোরেশনের বিগত ৭/৮ বছরে ফিক্সড ডিপোজিটের সুদ যোগ করে ২০০৯-২০১০ অর্থ বছরে ১৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা লাভ দেখিয়েছে বিএসসি। বার্ষিক হিসাব বিবরণীতে দেখানো অন্যান্য খাতের আয়ের মধ্যে মাত্র ২ কোটি টাকা ছাড়া বাকী ৪০ কোটি টাকাই হচ্ছে ফিক্স ডিপোজিটের সুদ । এই সুদই হচ্ছে ব্যাংকে রাখা কর্পোরেশনের বিগত কয়েকবছর এফডিআরের সুদ, যা হিসাব বিবেরণীতে উল্লেখ করা হয় নাই। বিএসসির এহেন দূর্গতির জন্য টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর (টিডি) মো. সাইদ উল্যাহকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। ১/১১ এর সময় চর দখলের মত তিনি এ পদ দখল করে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। শিপিং কর্পোরেশনের অতীব একটি গুনুরুত্বপূর্ণ টিডির পদ দখল করে যিনি আছেন তার ওই পদে থাকার প্রয়োজনীয় যোগ্যতা নেই বলে সংশিষ্টদের অভিযোগ রয়েছে। টিডি মো. সাইদ উল্ল্যাহ বিএসসিতে খুব কমই থাকেন। তিনি সল্টগোলাস্থ ’সরকারী নাবিক প্রশিণ কেন্দ্রে’-এর সার্বনিক অধ্য এবং দিনের প্রায় বেশীর ভাগ সময়ই তিনি ঐ প্রতিষ্ঠানে ব্যয় করেন। এ পদে সাধারণত ডেক অফিসার/মাস্টারগণদেরই নিয়োগ দেওয়া হয়। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার এই পদের জন্য মোটেই যোগ্য নয় এবং পূর্বে কখনও এ ধরনের নিয়োগ দেওয়া হয় নাই। হয়তো এমন হতে পারে এ দুটি পদের জন্য কোন যোগ্য ব্যক্তির অভাব নতুবা বর্তমানে ক্ষমতাশীল আওয়ামীলীগ সরকারের সুনাম অথবা নৌ মন্ত্রীর মর্যদাহানির জন্য কোন কুচক্রী মহলের কলকাঠি এর পেছনে অবশ্যই কাজ করছে যা খতিয়ে দেখা উর্দ্ধতন কর্তৃপরে প্রয়োজন বলে মনে করেন বিএসসির একটি দায়িত্বশীল সূত্র। সংশিষ্ট মহল মনে করেন এই দুটি পদে যোগ্য কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়ে এ প্রতিষ্ঠান দুটিকে বাঁচাতে হবে। এদিকে বিএসসির বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে, ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর কবির মাস্টার এমভি বাংলার দুত এর বিরুদ্ধে ১,৩৮,৯৭০ মার্কিন ডলারের কোন হিসাব বুঝিয়ে না দেয়া প্রসঙ্গে বিএসসির সাবেক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ গত বছরের ২৬ জানুয়ারী একটি অভিযোগ পেশ করলেও এখনো রহাস্যজনক কারণে তদন্ত হচ্ছে না বলে জানা গেছে। এফডিআর যোগ করে লাভ দেখানো হয়েছে বলে আবুল হাশেম এন্ড কোম্পানীর চ্যাটার্ড একাউন্টেন্ড জহিরুল ইসলাম স্বীকার করলেও অন্যকিছু বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মকসুমুল কাদের এটা বিএসসির অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জানান। টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর (টিডি) মো. সাইদ উল্যাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
বিএসসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার মতায় আসার পর ১৯ জন কর্মকর্তা এবং ৫৮ জন কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে বিএসসিতে। বর্তমানে কর্মকর্তার সংখ্যা ৬৯ জন এবং কর্মচারীর সংখ্যা ২৬৫ জন। বিদেশী জাহাজের কর্মকর্তাদের বেতন অনেক বেশী হওয়াতে বিএসসির সনদধারী জাহাজী কর্মকর্তাগন বিভিন্ন অজুহাতে বিএসসি ছেড়ে বিদেশী জাহাজে যোগদান করেছেন। ফলে সনদধারী জাহাজী কর্মকর্তাদের প্রকট সংকট দেখা দিয়েছে এবং সংস্থার জাহাজ পরিচালনায় বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। বিএসসির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গত ২০০৭ সালের ২৪ জুন টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর (টিডি) ক্যাপ্টেন আজিজুল হাসানের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ওই বছরের ২৭ জুন ক্যাপ্টেন ওয়াহিদুর রহমান দায়িত্বভার গ্রহন করেন। ওয়াহিদুর রহমান কমার্শিয়াল এবং টেকনিক্যাল বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন সবচেয়ে বেশী অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নৌ কর্মকর্তা বলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তাকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়। এ সময় বিএসসি কাজের চাঞ্চল্যতা বৃদ্ধি পেয়ে লাভের মুখ দেখতে শুরু করে। কিন্ত দু মাসের মধ্যেই মো.সাইদ উল্যাহকে টিডি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হলে সে থেকে এ প্রতিষ্ঠানের পিছুটান শুরু হয়। সংশিষ্টরা বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ক্যাপ্টেন ওয়াহিদুর রহমানকে টিডির চেয়ার থেকে কৌশলে সরিয়ে মো.সাইদ উল্যাহ নিজেই টিডির চেয়ার দখল করতে সমর্থ হয়েছেন। বিএসসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানান, মো. সাইদ উল্যাহ জিএম হিসেবে নিয়োগ পাবারও যোগ্যতা সম্পন্ন নন। কারণ নিয়ম অনুযায়ী একজন জিএম হতে হলে অবশ্যই সমুদ্রগামী জাহাজে চীফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কমপে দু বছর বাস্তব অভিজ্ঞাতা থাকার প্রয়োজন রয়েছে। অথচ মো. সাইদ উল্যাহর সমুদ্রগামী জাহাজের সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ারের অভিজ্ঞাতা রয়েছে। বিএসসির অতীত ইতিহাস খুঁজে দেখা যায় একমাত্র ডেক বিভাগের সর্বোচ্চ পদের অধিকারী ক্যাপ্টেনগনই টিডি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। কখনো মেরিন ইঞ্জিনিয়ার টিডি হিসেবে নিয়োগ পাননি। এর পিছনে অনেক কারণ রয়েছে। শধু ডেক অফিসারগনই শিপিং ল এবং বিজনেস বিষয়ে পড়াশুনা করে থাকেন। কথিত আছে, ইন্টান্যাশনাল মেরিটাইম ল এবং বিজনেস এর উপর অগাধ জ্ঞান না থাকলে টিডি হিসেবে দায়িত্ব পালন সম্ভব নয়।
বিএসসি সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের শেষ দিকে ১০টি জাহাজ চট্টগ্রাম পোর্টে লেইড আপ হয়ে যায়। ২০০৯-১০ অর্থ বছরেও বিএসসি ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়ে। বিএসসির হিসেব বিবরণী প্রস্ততকারী সংশ্লিষ্ট অডিট ফার্মের রিপোর্টে ওই বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। বার্ষিক হিসেব বিবরণীর রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা গেছে, ২০০৯-১০ অর্থ বছরে জাহাজ পরিচালনা করে লোকসান হয়েছে ২৯ কোটি টাকা। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশী হওয়ায় জাহাজ পরিচালনা বাবদ বিএসসির নিট লোকসান হয়েছে ২৯ কোটি ৮১ হাজার টাকা। ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে লোকসান হয়েছে ২৩ কোটি টাকা। কিন্ত অন্যান্য আয়ের বিশেষ করে কর্পোরেশনের বিগত ৭/৮ বছরে ফিক্সড ডিপোজিটের সুদ যোগ করে ২০০৯-২০১০ অর্থ বছরে ১৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা লাভ দেখিয়েছে বিএসসি। বার্ষিক হিসাব বিবরণীতে দেখানো অন্যান্য খাতের আয়ের মধ্যে মাত্র ২ কোটি টাকা ছাড়া বাকী ৪০ কোটি টাকাই হচ্ছে ফিক্স ডিপোজিটের সুদ । এই সুদই হচ্ছে ব্যাংকে রাখা কর্পোরেশনের বিগত কয়েকবছর এফডিআরের সুদ, যা হিসাব বিবেরণীতে উল্লেখ করা হয় নাই। বিএসসির এহেন দূর্গতির জন্য টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর (টিডি) মো. সাইদ উল্যাহকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। ১/১১ এর সময় চর দখলের মত তিনি এ পদ দখল করে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। শিপিং কর্পোরেশনের অতীব একটি গুনুরুত্বপূর্ণ টিডির পদ দখল করে যিনি আছেন তার ওই পদে থাকার প্রয়োজনীয় যোগ্যতা নেই বলে সংশিষ্টদের অভিযোগ রয়েছে। টিডি মো. সাইদ উল্ল্যাহ বিএসসিতে খুব কমই থাকেন। তিনি সল্টগোলাস্থ ’সরকারী নাবিক প্রশিণ কেন্দ্রে’-এর সার্বনিক অধ্য এবং দিনের প্রায় বেশীর ভাগ সময়ই তিনি ঐ প্রতিষ্ঠানে ব্যয় করেন। এ পদে সাধারণত ডেক অফিসার/মাস্টারগণদেরই নিয়োগ দেওয়া হয়। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার এই পদের জন্য মোটেই যোগ্য নয় এবং পূর্বে কখনও এ ধরনের নিয়োগ দেওয়া হয় নাই। হয়তো এমন হতে পারে এ দুটি পদের জন্য কোন যোগ্য ব্যক্তির অভাব নতুবা বর্তমানে ক্ষমতাশীল আওয়ামীলীগ সরকারের সুনাম অথবা নৌ মন্ত্রীর মর্যদাহানির জন্য কোন কুচক্রী মহলের কলকাঠি এর পেছনে অবশ্যই কাজ করছে যা খতিয়ে দেখা উর্দ্ধতন কর্তৃপরে প্রয়োজন বলে মনে করেন বিএসসির একটি দায়িত্বশীল সূত্র। সংশিষ্ট মহল মনে করেন এই দুটি পদে যোগ্য কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়ে এ প্রতিষ্ঠান দুটিকে বাঁচাতে হবে। এদিকে বিএসসির বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে, ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর কবির মাস্টার এমভি বাংলার দুত এর বিরুদ্ধে ১,৩৮,৯৭০ মার্কিন ডলারের কোন হিসাব বুঝিয়ে না দেয়া প্রসঙ্গে বিএসসির সাবেক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ গত বছরের ২৬ জানুয়ারী একটি অভিযোগ পেশ করলেও এখনো রহাস্যজনক কারণে তদন্ত হচ্ছে না বলে জানা গেছে। এফডিআর যোগ করে লাভ দেখানো হয়েছে বলে আবুল হাশেম এন্ড কোম্পানীর চ্যাটার্ড একাউন্টেন্ড জহিরুল ইসলাম স্বীকার করলেও অন্যকিছু বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মকসুমুল কাদের এটা বিএসসির অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জানান। টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর (টিডি) মো. সাইদ উল্যাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের খুলনা অফিস বন্ধ মংলা বন্দর ধ্বংস করার এইটি এক ধরনের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র। আমি বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন খুলনা অফিস বন্ধ করার উদ্দেশ্যে ও কর্মচারীদের গণবদলীর সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।এসবের মধ্যে বর্তমান সরকার যখন মংলা বন্দরকে গতিশীল ও আধুনিক বন্দরে রূপান্তরের উদ্দেশ্যে মংলা বন্দরকে গড়ে তুলতে কার্যক্রম হাতে নিয়েছে/কাজ করছে, ঠিক তখনই বিএসসি মংলা বন্দরের ব্যবসা বন্ধ করার অযৌক্তিক উদ্যোগ নিয়েছে।একদিকে সরকার বিএসসির জাহাজ বহর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি শেয়ারবাজারে ৩৫০ কোটি টাকার শেয়ারও বিক্রি করেছে বিএসসি। অথচ অন্যদিকে বিএসসি কর্তৃপক্ষ নিজেদের ব্যবসা সম্প্রসারিত না করে মংলা বন্দরের কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মংলা বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করে বিএসসিকে শুধু চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর নির্ভরশীল করে রাখতে সংশ্লিষ্ট আগ্রহী কিছু কর্মকর্তাদের দীর্ঘদিনের উদাসীনতা থেকেই তারা মংলা বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম সংকুচিত করার অজুহাতে বর্তমানে তারা বন্দর থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়ার নানামুখী তৎপরতা শুরু/চেষ্টা করছে। এসবের কারণে বর্তমান সরকারের নেয়া মংলা বন্দরকে গতিশীল ও আধুনিক বন্দরে রূপান্তরের কার্যক্রম ভেস্তে যাবে।আমি অবিলম্বে এই আদেশ প্রত্যাহার করে দ্রুত শিপিং কর্পোরেশন পূর্ণ উদ্যোগে চালু করার দাবি জানাই। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) খুলনা অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন,অফিস থেকে বদলীর আদেশ দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী কার্যক্রম নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আগে বন্দরে ৩/৪ জাহাজ এক সাথে আসতো এজন্য জনবল লাগতো বেশি। এখন একটি জাহাজ আসার এক সপ্তাহ পর অন্য জাহাজ আসে। ফলে আগের জনবল এখন প্রয়োজন নেই বলে কেন্দ্রীয় অফিসের কর্মকর্তারা মনে করছেন। তিনি বলেন, জনবল কমে গেলে কাজের চাপ বেড়ে যাবে। অফিস গুটিয়ে নেবার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান দৈনিক পূর্বাঞ্চল খুলনার প্রতিনিধি কে। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে ঢাকায় অবস্থানরত বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মাকছুমুল কাদের বলেন, খুলনা অফিসে এত জনবলের প্রয়োজন নেই। তাই সবার সাথে আলাপ করেই বদলী করা হচ্ছে। অফিস গুটিয়ে নেবার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান। খোদ সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) মংলা বন্দর থেকে তাদের শিপিং ব্যবসায়ীক কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত এটা নিঃসন্দেহে আত্মঘাতি ও সরকারের প্রচেষ্টার পরিপন্থি। এ বন্দর থেকে পণ্য আমদানি-রফতানি না হওয়ায় একদিকে যেমন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হবেন/রফতানি কার্যক্রম হবে চরমভাবে ব্যাহত তেমনি অপরদিকে বন্দর হারাবে তার ঐতিহ্য।তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের কর্তৃপক্ষের প্রতি আমার অনুরোধ বর্তমান যুগপোযোগী সরকারের নেয়া মংলা বন্দরকে গতিশীল ও আধুনিক বন্দরে রূপান্তর করার বিএসসি’র এই হটকারি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য অবিলম্বে এই আদেশ প্রত্যাহার করে দ্রুত শিপিং কর্পোরেশন পূর্ণ উদ্যোগে চালু করার দাবি জানাই।
উত্তরমুছুন