ফরিদপুর (বাংলাটাইমস টুয়েন্টিফোর ডটকম): আজ ২০ এপ্রিল। বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ এর ৪০ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই দিনে বর্তমান রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর থানার
বুড়িঘাটতে পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে মুখোমুখি যুদ্ধের সময় তিনি নিহত হন। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তার মহান আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরুপ তাকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। দিনটি উপলক্ষে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক উদ্যোগে দিনব্যাপী কোরান খানী, মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
মুন্সী মেহেদী হাসান ও মকিদুননেছার একমাত্র পুত্র সন্তান মুন্সী আব্দুর রউফ ১৯৪৩ সালের মে মাসে বর্তমান মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের সালামাতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১১ বছর বয়সে তাঁর পিতৃবিয়োগ ঘটে। এর পর আর্থিক অনটনের কারনে লেখাপড়া সম্ভব না হওয়ায় তিনি তৎকালীন ইপিআর এ ১৯৬৩ সালের ৮ মে সৈনিক পদে যোগদান করেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ১৩১৮৭। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি তার উইংয়ে কর্মরত অবস্থায় ৮ম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন এবং তিনি মেশিন গানার হিসেবে ৮ নম্বর সেক্টর কমান্ডারের অধীনে রাঙ্গামাটির মহালছড়ি নৌপথ অঞ্চলে বুড়িঘাট নামক স্থানে চিংড়িখালের প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন। ‘৭১ এর ২০ এপ্রিল পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ সমরে মুন্সী আব্দুর রউফের মেশিন গানের গুলিতে পাকবাহিনীর ২টি লঞ্চ, একটি ¯প্রীডবোড ডুবে পাকবাহিনীর দুই প¬াটুন সৈন্যের সলিল সমাধি ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষের নিক্ষিপ্ত মটার সেলের আঘাতে তিনি শহীদ হন। ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ শহীদ হবার দীর্ঘ ২৫ বছর পর ১৯৯৬ সালে বুড়িঘাট নিবাসী জ্যোতিষ চন্দ্র চাকমা ও দয়াল কৃঞ্চ চাকমার সহায়তায় বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ এর কবরের স্থান সনাক্ত করতে সক্ষম হন সরকার। ১৯৯৭ সালে সেখানে একটি স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। বিগত ২০০৮ সালে ২৮ মে তার নিজগ্রাম সালামাতপুরের নাম রউফ নগর রাখা হয়। ওই বছরেই তার নামে নিজ গ্রাম রউফ নগরে স্থানীীয় সরকার সমবায় মন্ত্রনালয় এর অধীন ফরিদপুর জেলা পরিষদের ত্বাবধানে প্রায় ৬৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতি যাদুঘর ও গ্রন্থগার নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া তার নামে এলাকায় কামারখালী বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজ যা সম্প্রতি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি করণের ঘোষনা দেন। গন্ধখালী বীরশ্রেষ্ঠ উচ্চ বিদ্যালয়, সাভারে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ গেট, ঢাকায় বীরশ্রেষ্ট মুন্সী আব্দুর রউফ রাইফেলস স্কুল এন্ড কলেজ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাঁর নামে প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
বুড়িঘাটতে পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে মুখোমুখি যুদ্ধের সময় তিনি নিহত হন। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তার মহান আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরুপ তাকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। দিনটি উপলক্ষে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক উদ্যোগে দিনব্যাপী কোরান খানী, মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
মুন্সী মেহেদী হাসান ও মকিদুননেছার একমাত্র পুত্র সন্তান মুন্সী আব্দুর রউফ ১৯৪৩ সালের মে মাসে বর্তমান মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের সালামাতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১১ বছর বয়সে তাঁর পিতৃবিয়োগ ঘটে। এর পর আর্থিক অনটনের কারনে লেখাপড়া সম্ভব না হওয়ায় তিনি তৎকালীন ইপিআর এ ১৯৬৩ সালের ৮ মে সৈনিক পদে যোগদান করেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ১৩১৮৭। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি তার উইংয়ে কর্মরত অবস্থায় ৮ম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন এবং তিনি মেশিন গানার হিসেবে ৮ নম্বর সেক্টর কমান্ডারের অধীনে রাঙ্গামাটির মহালছড়ি নৌপথ অঞ্চলে বুড়িঘাট নামক স্থানে চিংড়িখালের প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন। ‘৭১ এর ২০ এপ্রিল পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ সমরে মুন্সী আব্দুর রউফের মেশিন গানের গুলিতে পাকবাহিনীর ২টি লঞ্চ, একটি ¯প্রীডবোড ডুবে পাকবাহিনীর দুই প¬াটুন সৈন্যের সলিল সমাধি ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষের নিক্ষিপ্ত মটার সেলের আঘাতে তিনি শহীদ হন। ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ শহীদ হবার দীর্ঘ ২৫ বছর পর ১৯৯৬ সালে বুড়িঘাট নিবাসী জ্যোতিষ চন্দ্র চাকমা ও দয়াল কৃঞ্চ চাকমার সহায়তায় বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ এর কবরের স্থান সনাক্ত করতে সক্ষম হন সরকার। ১৯৯৭ সালে সেখানে একটি স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। বিগত ২০০৮ সালে ২৮ মে তার নিজগ্রাম সালামাতপুরের নাম রউফ নগর রাখা হয়। ওই বছরেই তার নামে নিজ গ্রাম রউফ নগরে স্থানীীয় সরকার সমবায় মন্ত্রনালয় এর অধীন ফরিদপুর জেলা পরিষদের ত্বাবধানে প্রায় ৬৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতি যাদুঘর ও গ্রন্থগার নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া তার নামে এলাকায় কামারখালী বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজ যা সম্প্রতি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি করণের ঘোষনা দেন। গন্ধখালী বীরশ্রেষ্ঠ উচ্চ বিদ্যালয়, সাভারে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ গেট, ঢাকায় বীরশ্রেষ্ট মুন্সী আব্দুর রউফ রাইফেলস স্কুল এন্ড কলেজ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাঁর নামে প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন