শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১১
উত্তরা-যাত্রাবাড়ী ফ্লাই ওভার নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১১
বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১১
আ’লীগের অধীনে নির্বাচন চান প্রধানমন্ত্রী: মওদুদ
পদ্মা সেতু নির্মান: আজ বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক চুক্তি স্বাক্ষর
বুধবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১১
পদ্মা সেতু নির্মাণে স্বচ্ছতা চায় বিশ্বব্যাংক
আজ শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী
মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১১
১৬ দিন পর লিমনের মামলা এজাহারভুক্ত
খুলনায় সমস্যার আবর্তে চিংড়ি শিল্প
বিচারক সঙ্কটে ঝুলে আছে উত্তরাঞ্চলের ৫০ হাজার মামলা
সোমবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১১
২২ বছর নাসাকার হাতের বন্দি আমজাদের মুক্তি
গ্রামীণ ব্যাংকের তহবিল স্থানান্তরে অনিয়ম নেই: অর্থমন্ত্রী
২৪ ঘন্টার মধ্যে লিমনের মামলা রেকর্ডের নির্দেশ
রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১১
ইব্রাহিম খালেদসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা
সংবিধান সংশোধন বৈঠক: রাষ্ট্রকে ধর্মের ঊর্ধ্বে রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
পদত্যাগ করবেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট
কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হলে দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার আহবান খালেদার
সংবিধান সংশোধন: মতামত জানতে বৈঠক রোববার থেকে
শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১১
দেশকে সামনে এগুতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দরকার: ইনু
সরকারের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হবে: খালেদা জিয়া
সরকারের দাবী নাটোরে শতভাগ শিশু স্কুলগামী, বাস্তবতা ভিন্ন
শুক্রবার, ২২ এপ্রিল, ২০১১
'গাড়ি আমদানি ঠেকানো যাচ্ছেনা, যানজট নিরসনে ফল নেই'
লিবিয়ার আকাশে আমেরিকার ড্রোন বিমান
সিরিয়ার ৪৮ বছরের জরুরি অবস্থার অবসান
বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১১
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের গোপন নথি ফাঁস করল সিআইএ
রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে আগামী মাসে আন্দোলন: ফখরুল
ঢাকা (বাংলাটাইমস টুয়েন্টিফোর ডটকম): বিএনপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, আগমী ৯ মে পরবর্তী সময় থেকে রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে। মানবতার বিরুদ্ধে প্রহসনের বিচারের নামে সরকার নিজেরাই সুস্পষ্ট মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করে চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, সরকারের নব্য প্রতিষ্ঠিত অত্যাধুনিক টর্চার সেল সেফ হোম।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে সরকারের বাহিনী জিজ্ঞাসাবাদের নামে রিমান্ডে নিয়ে দলের বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছে তা শুধ্ইু গেষ্টাপো বাহিনীর নির্যাতনের সঙ্গে তুলনীয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টুকে জঙ্গিবাদের হাস্যকর ও হীণ উদ্দেশ্যে প্রণোদিত মামলা দিয়ে জেলে আটকে রেখে প্রতিহিংসাপরায়ণ আচারণ করছে সরকার। পুলিশী রিমান্ডে নির্যাতন, জামিন না দেয়া এবং সার্বিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
অবিলম্বে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনম এহছানুলক হক মিলন, ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মহিলাদল নেত্রী সুরাইয়া বেগম ও তার দুই ছেলের মুক্তি দাবি করেন।
সংবিধান সংশোধন কমিটির আমন্ত্রণে বিএনপি যোগ দেবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়াও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে সেফ হোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে উচ্চ আদালতে রায়কে অমান্য করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ সময় অপর স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার বলেন, বিএনপির আমলে পুলিশের বিরুদ্ধেই কোনো অভিযোগ ছিলো না। কিন্তু বর্তমান সরকার র্যাবকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্যাতনে ব্যবহার করছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে দলের ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান পটল, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে সরকারের বাহিনী জিজ্ঞাসাবাদের নামে রিমান্ডে নিয়ে দলের বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছে তা শুধ্ইু গেষ্টাপো বাহিনীর নির্যাতনের সঙ্গে তুলনীয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টুকে জঙ্গিবাদের হাস্যকর ও হীণ উদ্দেশ্যে প্রণোদিত মামলা দিয়ে জেলে আটকে রেখে প্রতিহিংসাপরায়ণ আচারণ করছে সরকার। পুলিশী রিমান্ডে নির্যাতন, জামিন না দেয়া এবং সার্বিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
অবিলম্বে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনম এহছানুলক হক মিলন, ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মহিলাদল নেত্রী সুরাইয়া বেগম ও তার দুই ছেলের মুক্তি দাবি করেন।
সংবিধান সংশোধন কমিটির আমন্ত্রণে বিএনপি যোগ দেবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়াও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে সেফ হোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে উচ্চ আদালতে রায়কে অমান্য করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ সময় অপর স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার বলেন, বিএনপির আমলে পুলিশের বিরুদ্ধেই কোনো অভিযোগ ছিলো না। কিন্তু বর্তমান সরকার র্যাবকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্যাতনে ব্যবহার করছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে দলের ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান পটল, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
লোকসানের পথে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন
বিশ্বজিৎ পাল (বাংলাটাইমস টুয়েন্টিফোর ডটকম): অদ ও অব্যবস্থাপনায় এক সময়কার লাভজনক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) ক্রমান্বয়ে লোকসানের দিকে এগুচ্ছে। অব্যবস্থাপনার সাথে সাথে ব্যপক অনিয়ম ও দূনীতি বেড়েই চলছে বলে অভিযোগে উঠেছে। যার কারণে প্রতিষ্ঠানটি আজ রুগ্ন হয়ে পড়েছে। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানের কয়েকটি জাহাজ অচল হয়ে পড়া, দীর্ঘদিনেও বিএসসির বহরে নতুন কোন বানিজ্যিক জাহাজ যুক্ত না হওয়া, আন্তর্জাতিক বাজারে জাহাজ ভাড়া কমে যাওয়ায় আগের তুলনায় অর্ধেক খরচ না উঠা এবং অদতা ও অব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠানটি লোকসানের দিকে এগুচ্ছে বলে সংশিষ্ট মহলের ধারনা। গত তিন অর্থ বছরের কোটি কোটি টাকা লোকসান হলেও চলতি অর্থ বছরের এ লোকসানের পরিমান আরো দ্বিগুন হবে বলে জানা গেছে। অচল জাহাজে বসে মার্কিন ডলারে বেতন গুনছেন চুক্তিবদ্ধ নাবিকরা। আয় না থাকায় এফডি আর (ফিক্স ডিপোজিট) একটি অংশ ভেঙ্গে কোম্পানীর কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অকেজো হয়ে আছে ৪ টি জাহাজ। ওই জাহাজগুলোতে বসে বসে নাবিকরা বেতন নিচ্ছেন। প্রতিমাসে দেড় কোটি টাকা এসব নাবিকদের বেতন বাবদ গচ্ছা দিতে হচ্ছে। এদিকে ২০০৯-১০ অর্থ বছরে লোকসান ঢাকতে বিএসসি কর্তৃপ চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারী বার্ষিক সাধারণ সভায় হিসাব বিবরণীতে কৌশলে এফডিআর-এর সুদ যোগ করে লাভ দেখিয়েছে । সংশিষ্টরা বলেছেন, বিএসসির লোকসানের কারণ হিসেবে অনভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গকেই দায়ী করছেন। তাদের মতে, বিএসসি কে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে সমুদ্রগামী জাহাজের একজন অভিজ্ঞ ক্যাপ্টেন প্রয়োজন।
বিএসসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার মতায় আসার পর ১৯ জন কর্মকর্তা এবং ৫৮ জন কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে বিএসসিতে। বর্তমানে কর্মকর্তার সংখ্যা ৬৯ জন এবং কর্মচারীর সংখ্যা ২৬৫ জন। বিদেশী জাহাজের কর্মকর্তাদের বেতন অনেক বেশী হওয়াতে বিএসসির সনদধারী জাহাজী কর্মকর্তাগন বিভিন্ন অজুহাতে বিএসসি ছেড়ে বিদেশী জাহাজে যোগদান করেছেন। ফলে সনদধারী জাহাজী কর্মকর্তাদের প্রকট সংকট দেখা দিয়েছে এবং সংস্থার জাহাজ পরিচালনায় বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। বিএসসির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গত ২০০৭ সালের ২৪ জুন টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর (টিডি) ক্যাপ্টেন আজিজুল হাসানের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ওই বছরের ২৭ জুন ক্যাপ্টেন ওয়াহিদুর রহমান দায়িত্বভার গ্রহন করেন। ওয়াহিদুর রহমান কমার্শিয়াল এবং টেকনিক্যাল বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন সবচেয়ে বেশী অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নৌ কর্মকর্তা বলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তাকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়। এ সময় বিএসসি কাজের চাঞ্চল্যতা বৃদ্ধি পেয়ে লাভের মুখ দেখতে শুরু করে। কিন্ত দু মাসের মধ্যেই মো.সাইদ উল্যাহকে টিডি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হলে সে থেকে এ প্রতিষ্ঠানের পিছুটান শুরু হয়। সংশিষ্টরা বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ক্যাপ্টেন ওয়াহিদুর রহমানকে টিডির চেয়ার থেকে কৌশলে সরিয়ে মো.সাইদ উল্যাহ নিজেই টিডির চেয়ার দখল করতে সমর্থ হয়েছেন। বিএসসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানান, মো. সাইদ উল্যাহ জিএম হিসেবে নিয়োগ পাবারও যোগ্যতা সম্পন্ন নন। কারণ নিয়ম অনুযায়ী একজন জিএম হতে হলে অবশ্যই সমুদ্রগামী জাহাজে চীফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কমপে দু বছর বাস্তব অভিজ্ঞাতা থাকার প্রয়োজন রয়েছে। অথচ মো. সাইদ উল্যাহর সমুদ্রগামী জাহাজের সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ারের অভিজ্ঞাতা রয়েছে। বিএসসির অতীত ইতিহাস খুঁজে দেখা যায় একমাত্র ডেক বিভাগের সর্বোচ্চ পদের অধিকারী ক্যাপ্টেনগনই টিডি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। কখনো মেরিন ইঞ্জিনিয়ার টিডি হিসেবে নিয়োগ পাননি। এর পিছনে অনেক কারণ রয়েছে। শধু ডেক অফিসারগনই শিপিং ল এবং বিজনেস বিষয়ে পড়াশুনা করে থাকেন। কথিত আছে, ইন্টান্যাশনাল মেরিটাইম ল এবং বিজনেস এর উপর অগাধ জ্ঞান না থাকলে টিডি হিসেবে দায়িত্ব পালন সম্ভব নয়।
বিএসসি সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের শেষ দিকে ১০টি জাহাজ চট্টগ্রাম পোর্টে লেইড আপ হয়ে যায়। ২০০৯-১০ অর্থ বছরেও বিএসসি ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়ে। বিএসসির হিসেব বিবরণী প্রস্ততকারী সংশ্লিষ্ট অডিট ফার্মের রিপোর্টে ওই বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। বার্ষিক হিসেব বিবরণীর রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা গেছে, ২০০৯-১০ অর্থ বছরে জাহাজ পরিচালনা করে লোকসান হয়েছে ২৯ কোটি টাকা। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশী হওয়ায় জাহাজ পরিচালনা বাবদ বিএসসির নিট লোকসান হয়েছে ২৯ কোটি ৮১ হাজার টাকা। ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে লোকসান হয়েছে ২৩ কোটি টাকা। কিন্ত অন্যান্য আয়ের বিশেষ করে কর্পোরেশনের বিগত ৭/৮ বছরে ফিক্সড ডিপোজিটের সুদ যোগ করে ২০০৯-২০১০ অর্থ বছরে ১৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা লাভ দেখিয়েছে বিএসসি। বার্ষিক হিসাব বিবরণীতে দেখানো অন্যান্য খাতের আয়ের মধ্যে মাত্র ২ কোটি টাকা ছাড়া বাকী ৪০ কোটি টাকাই হচ্ছে ফিক্স ডিপোজিটের সুদ । এই সুদই হচ্ছে ব্যাংকে রাখা কর্পোরেশনের বিগত কয়েকবছর এফডিআরের সুদ, যা হিসাব বিবেরণীতে উল্লেখ করা হয় নাই। বিএসসির এহেন দূর্গতির জন্য টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর (টিডি) মো. সাইদ উল্যাহকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। ১/১১ এর সময় চর দখলের মত তিনি এ পদ দখল করে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। শিপিং কর্পোরেশনের অতীব একটি গুনুরুত্বপূর্ণ টিডির পদ দখল করে যিনি আছেন তার ওই পদে থাকার প্রয়োজনীয় যোগ্যতা নেই বলে সংশিষ্টদের অভিযোগ রয়েছে। টিডি মো. সাইদ উল্ল্যাহ বিএসসিতে খুব কমই থাকেন। তিনি সল্টগোলাস্থ ’সরকারী নাবিক প্রশিণ কেন্দ্রে’-এর সার্বনিক অধ্য এবং দিনের প্রায় বেশীর ভাগ সময়ই তিনি ঐ প্রতিষ্ঠানে ব্যয় করেন। এ পদে সাধারণত ডেক অফিসার/মাস্টারগণদেরই নিয়োগ দেওয়া হয়। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার এই পদের জন্য মোটেই যোগ্য নয় এবং পূর্বে কখনও এ ধরনের নিয়োগ দেওয়া হয় নাই। হয়তো এমন হতে পারে এ দুটি পদের জন্য কোন যোগ্য ব্যক্তির অভাব নতুবা বর্তমানে ক্ষমতাশীল আওয়ামীলীগ সরকারের সুনাম অথবা নৌ মন্ত্রীর মর্যদাহানির জন্য কোন কুচক্রী মহলের কলকাঠি এর পেছনে অবশ্যই কাজ করছে যা খতিয়ে দেখা উর্দ্ধতন কর্তৃপরে প্রয়োজন বলে মনে করেন বিএসসির একটি দায়িত্বশীল সূত্র। সংশিষ্ট মহল মনে করেন এই দুটি পদে যোগ্য কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়ে এ প্রতিষ্ঠান দুটিকে বাঁচাতে হবে। এদিকে বিএসসির বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে, ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর কবির মাস্টার এমভি বাংলার দুত এর বিরুদ্ধে ১,৩৮,৯৭০ মার্কিন ডলারের কোন হিসাব বুঝিয়ে না দেয়া প্রসঙ্গে বিএসসির সাবেক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ গত বছরের ২৬ জানুয়ারী একটি অভিযোগ পেশ করলেও এখনো রহাস্যজনক কারণে তদন্ত হচ্ছে না বলে জানা গেছে। এফডিআর যোগ করে লাভ দেখানো হয়েছে বলে আবুল হাশেম এন্ড কোম্পানীর চ্যাটার্ড একাউন্টেন্ড জহিরুল ইসলাম স্বীকার করলেও অন্যকিছু বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মকসুমুল কাদের এটা বিএসসির অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জানান। টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর (টিডি) মো. সাইদ উল্যাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
বিএসসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার মতায় আসার পর ১৯ জন কর্মকর্তা এবং ৫৮ জন কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে বিএসসিতে। বর্তমানে কর্মকর্তার সংখ্যা ৬৯ জন এবং কর্মচারীর সংখ্যা ২৬৫ জন। বিদেশী জাহাজের কর্মকর্তাদের বেতন অনেক বেশী হওয়াতে বিএসসির সনদধারী জাহাজী কর্মকর্তাগন বিভিন্ন অজুহাতে বিএসসি ছেড়ে বিদেশী জাহাজে যোগদান করেছেন। ফলে সনদধারী জাহাজী কর্মকর্তাদের প্রকট সংকট দেখা দিয়েছে এবং সংস্থার জাহাজ পরিচালনায় বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। বিএসসির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গত ২০০৭ সালের ২৪ জুন টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর (টিডি) ক্যাপ্টেন আজিজুল হাসানের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ওই বছরের ২৭ জুন ক্যাপ্টেন ওয়াহিদুর রহমান দায়িত্বভার গ্রহন করেন। ওয়াহিদুর রহমান কমার্শিয়াল এবং টেকনিক্যাল বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন সবচেয়ে বেশী অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নৌ কর্মকর্তা বলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তাকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়। এ সময় বিএসসি কাজের চাঞ্চল্যতা বৃদ্ধি পেয়ে লাভের মুখ দেখতে শুরু করে। কিন্ত দু মাসের মধ্যেই মো.সাইদ উল্যাহকে টিডি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হলে সে থেকে এ প্রতিষ্ঠানের পিছুটান শুরু হয়। সংশিষ্টরা বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ক্যাপ্টেন ওয়াহিদুর রহমানকে টিডির চেয়ার থেকে কৌশলে সরিয়ে মো.সাইদ উল্যাহ নিজেই টিডির চেয়ার দখল করতে সমর্থ হয়েছেন। বিএসসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানান, মো. সাইদ উল্যাহ জিএম হিসেবে নিয়োগ পাবারও যোগ্যতা সম্পন্ন নন। কারণ নিয়ম অনুযায়ী একজন জিএম হতে হলে অবশ্যই সমুদ্রগামী জাহাজে চীফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কমপে দু বছর বাস্তব অভিজ্ঞাতা থাকার প্রয়োজন রয়েছে। অথচ মো. সাইদ উল্যাহর সমুদ্রগামী জাহাজের সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ারের অভিজ্ঞাতা রয়েছে। বিএসসির অতীত ইতিহাস খুঁজে দেখা যায় একমাত্র ডেক বিভাগের সর্বোচ্চ পদের অধিকারী ক্যাপ্টেনগনই টিডি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। কখনো মেরিন ইঞ্জিনিয়ার টিডি হিসেবে নিয়োগ পাননি। এর পিছনে অনেক কারণ রয়েছে। শধু ডেক অফিসারগনই শিপিং ল এবং বিজনেস বিষয়ে পড়াশুনা করে থাকেন। কথিত আছে, ইন্টান্যাশনাল মেরিটাইম ল এবং বিজনেস এর উপর অগাধ জ্ঞান না থাকলে টিডি হিসেবে দায়িত্ব পালন সম্ভব নয়।
বিএসসি সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের শেষ দিকে ১০টি জাহাজ চট্টগ্রাম পোর্টে লেইড আপ হয়ে যায়। ২০০৯-১০ অর্থ বছরেও বিএসসি ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়ে। বিএসসির হিসেব বিবরণী প্রস্ততকারী সংশ্লিষ্ট অডিট ফার্মের রিপোর্টে ওই বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। বার্ষিক হিসেব বিবরণীর রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা গেছে, ২০০৯-১০ অর্থ বছরে জাহাজ পরিচালনা করে লোকসান হয়েছে ২৯ কোটি টাকা। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশী হওয়ায় জাহাজ পরিচালনা বাবদ বিএসসির নিট লোকসান হয়েছে ২৯ কোটি ৮১ হাজার টাকা। ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে লোকসান হয়েছে ২৩ কোটি টাকা। কিন্ত অন্যান্য আয়ের বিশেষ করে কর্পোরেশনের বিগত ৭/৮ বছরে ফিক্সড ডিপোজিটের সুদ যোগ করে ২০০৯-২০১০ অর্থ বছরে ১৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা লাভ দেখিয়েছে বিএসসি। বার্ষিক হিসাব বিবরণীতে দেখানো অন্যান্য খাতের আয়ের মধ্যে মাত্র ২ কোটি টাকা ছাড়া বাকী ৪০ কোটি টাকাই হচ্ছে ফিক্স ডিপোজিটের সুদ । এই সুদই হচ্ছে ব্যাংকে রাখা কর্পোরেশনের বিগত কয়েকবছর এফডিআরের সুদ, যা হিসাব বিবেরণীতে উল্লেখ করা হয় নাই। বিএসসির এহেন দূর্গতির জন্য টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর (টিডি) মো. সাইদ উল্যাহকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। ১/১১ এর সময় চর দখলের মত তিনি এ পদ দখল করে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। শিপিং কর্পোরেশনের অতীব একটি গুনুরুত্বপূর্ণ টিডির পদ দখল করে যিনি আছেন তার ওই পদে থাকার প্রয়োজনীয় যোগ্যতা নেই বলে সংশিষ্টদের অভিযোগ রয়েছে। টিডি মো. সাইদ উল্ল্যাহ বিএসসিতে খুব কমই থাকেন। তিনি সল্টগোলাস্থ ’সরকারী নাবিক প্রশিণ কেন্দ্রে’-এর সার্বনিক অধ্য এবং দিনের প্রায় বেশীর ভাগ সময়ই তিনি ঐ প্রতিষ্ঠানে ব্যয় করেন। এ পদে সাধারণত ডেক অফিসার/মাস্টারগণদেরই নিয়োগ দেওয়া হয়। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার এই পদের জন্য মোটেই যোগ্য নয় এবং পূর্বে কখনও এ ধরনের নিয়োগ দেওয়া হয় নাই। হয়তো এমন হতে পারে এ দুটি পদের জন্য কোন যোগ্য ব্যক্তির অভাব নতুবা বর্তমানে ক্ষমতাশীল আওয়ামীলীগ সরকারের সুনাম অথবা নৌ মন্ত্রীর মর্যদাহানির জন্য কোন কুচক্রী মহলের কলকাঠি এর পেছনে অবশ্যই কাজ করছে যা খতিয়ে দেখা উর্দ্ধতন কর্তৃপরে প্রয়োজন বলে মনে করেন বিএসসির একটি দায়িত্বশীল সূত্র। সংশিষ্ট মহল মনে করেন এই দুটি পদে যোগ্য কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়ে এ প্রতিষ্ঠান দুটিকে বাঁচাতে হবে। এদিকে বিএসসির বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে, ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর কবির মাস্টার এমভি বাংলার দুত এর বিরুদ্ধে ১,৩৮,৯৭০ মার্কিন ডলারের কোন হিসাব বুঝিয়ে না দেয়া প্রসঙ্গে বিএসসির সাবেক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ গত বছরের ২৬ জানুয়ারী একটি অভিযোগ পেশ করলেও এখনো রহাস্যজনক কারণে তদন্ত হচ্ছে না বলে জানা গেছে। এফডিআর যোগ করে লাভ দেখানো হয়েছে বলে আবুল হাশেম এন্ড কোম্পানীর চ্যাটার্ড একাউন্টেন্ড জহিরুল ইসলাম স্বীকার করলেও অন্যকিছু বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মকসুমুল কাদের এটা বিএসসির অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জানান। টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর (টিডি) মো. সাইদ উল্যাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
প্যারোলে মুক্ত পিন্টু
ঢাকা (বাংলাটাইমস টুয়েন্টিফোর ডটকম): বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে বাবার জানাজা ও দাফনে অংশ নিতে প্যারোল অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব রুখসানা হাসিন স্বাক্ষরিত এক আদেশে প্যারোল মঞ্জুর করা হয়।
পিন্টুর আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে এ প্যারোল দেয়া হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে বাবার দাফনের ৬ ঘন্টার মধ্যে পিন্টুকে কারাগারে ফিরিয়ে নিতে হবে। বুধবার পিন্টুর বাবা মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন মৃত্যু বরণ করেন।
বিডিআর বিদ্রোহ মামলাসহ কয়েকটি মামলার আসামি নাসিরউদ্দিন পিন্টু ২০০৯ সালের ১১ জুন থেকে কারাগারে আটক রয়েছেন।
পিন্টুর আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে এ প্যারোল দেয়া হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে বাবার দাফনের ৬ ঘন্টার মধ্যে পিন্টুকে কারাগারে ফিরিয়ে নিতে হবে। বুধবার পিন্টুর বাবা মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন মৃত্যু বরণ করেন।
বিডিআর বিদ্রোহ মামলাসহ কয়েকটি মামলার আসামি নাসিরউদ্দিন পিন্টু ২০০৯ সালের ১১ জুন থেকে কারাগারে আটক রয়েছেন।
বিদেশে কর্মী পাঠানোর খরচ বিশেষজ্ঞ কমিটি নির্ধারণ করবে: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা (বাংলাটাইমস টুয়েন্টিফোর ডটকম): বিদেশে কর্মী পাঠানোর সর্বোচ্চ খরচ কী হবে তা বিশেষজ্ঞ কমিটি নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে এশিয়া অঞ্চলের ১১টি জনশক্তি রপ্তানিকারক দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন 'কলম্বো প্রসেস' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে এ কথা বলেন তিনি। বিদেশে কর্মসংস্থানের খরচ কমাতে বিনা জামানতে ঋণ সুবিধা ও বৈদেশিক আয় সরাসরি দেশে পাঠানোর সুবিধা নিয়ে বুধবার যাত্রা শুরু করল প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অভিবাসীদের স্বার্থ সুরক্ষায় নিয়োগকারী এজেন্সিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, এখন থেকে বিদেশে যারা যাবেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে তারা ঋণ নিতে পারবেন। এতে করে সহায়-সম্পত্তি বিক্রি কিংবা বন্ধক রেখে বিদেশে যাওয়ার খরচ মেটাতে হবে না। দু'দিনের কলম্বো প্রসেসের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী লিবিয়ার মতো জটিল পরিস্থিতি মোকাবেলায় কার্যকর পরিকল্পনা ও কৌশল গ্রহণে সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থেকে ১১.৪ বিলিয়ন রেমিটেন্স আসে। প্রবাসীদের পাঠানো এ অর্থ জাতীয় আয়ের প্রায় ১৩%। মোট বৈদেশিক আয়ের তুলনায় প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বেশি হলেও প্রবাসীদের কল্যাণে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি।
প্রবাসী ব্যাংকের কার্যকরী মূলধনের পরিমাণ হবে ৪০০ কোটি টাকা। তবে প্রাথমিকভাবে ১০০ কোটি টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যাংকটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরমধ্যে ৫ কোটি টাকা এসেছে সরকারি অনুদান থেকে। বাকী ৯৫ কোটি টাকার যোগান দেয়া হয় প্রবাসী কল্যাণ তহবিল থেকে।
৭০-৭১ ইস্কাটনের 'ওয়ানস্টপ সার্ভিস' ভবনে এ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় হবে। তবে ভবনটি পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত মিরপুরে দারুস সালাম রোডে বাংলাদেশ-কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ব্যাংকের অস্থায়ী কার্যালয়ে লেনদেন চলবে।
এক বছরের মধ্যে প্রতিটি বিভাগে ২টি করে মোট ১৬টি শাখায় ১৬০ জন জনবল নিয়োগ দেয়া হবে। ব্যাংক দেশভিত্তিক রেটিং করে বিদেশ গমনেচ্ছুদের ৯% হারে লোন দেবে বলে জানান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বিদেশ গমনে আর্থিক সাহায্যের ছাড়াও বিদেশ ফেরত সমস্যাগ্রস্তদের আতœকর্মকসংস্থান সৃষ্টিতেও ব্যাংক অর্থসাহায্য দেবে।
প্রবাসী শ্রমিকদের এসব সমস্যা সমাধানে বর্তমান সরকার এ বছরের ২৭ মার্চ বিশেষ অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক নামে বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম দিকে প্রবাসীদের কল্যাণে বিশেষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করলেও পরে এটি সাধারণ ব্যাংক হিসেবে কাজ করবে।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, এখন থেকে বিদেশে যারা যাবেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে তারা ঋণ নিতে পারবেন। এতে করে সহায়-সম্পত্তি বিক্রি কিংবা বন্ধক রেখে বিদেশে যাওয়ার খরচ মেটাতে হবে না। দু'দিনের কলম্বো প্রসেসের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী লিবিয়ার মতো জটিল পরিস্থিতি মোকাবেলায় কার্যকর পরিকল্পনা ও কৌশল গ্রহণে সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থেকে ১১.৪ বিলিয়ন রেমিটেন্স আসে। প্রবাসীদের পাঠানো এ অর্থ জাতীয় আয়ের প্রায় ১৩%। মোট বৈদেশিক আয়ের তুলনায় প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বেশি হলেও প্রবাসীদের কল্যাণে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি।
প্রবাসী ব্যাংকের কার্যকরী মূলধনের পরিমাণ হবে ৪০০ কোটি টাকা। তবে প্রাথমিকভাবে ১০০ কোটি টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যাংকটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরমধ্যে ৫ কোটি টাকা এসেছে সরকারি অনুদান থেকে। বাকী ৯৫ কোটি টাকার যোগান দেয়া হয় প্রবাসী কল্যাণ তহবিল থেকে।
৭০-৭১ ইস্কাটনের 'ওয়ানস্টপ সার্ভিস' ভবনে এ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় হবে। তবে ভবনটি পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত মিরপুরে দারুস সালাম রোডে বাংলাদেশ-কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ব্যাংকের অস্থায়ী কার্যালয়ে লেনদেন চলবে।
এক বছরের মধ্যে প্রতিটি বিভাগে ২টি করে মোট ১৬টি শাখায় ১৬০ জন জনবল নিয়োগ দেয়া হবে। ব্যাংক দেশভিত্তিক রেটিং করে বিদেশ গমনেচ্ছুদের ৯% হারে লোন দেবে বলে জানান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বিদেশ গমনে আর্থিক সাহায্যের ছাড়াও বিদেশ ফেরত সমস্যাগ্রস্তদের আতœকর্মকসংস্থান সৃষ্টিতেও ব্যাংক অর্থসাহায্য দেবে।
প্রবাসী শ্রমিকদের এসব সমস্যা সমাধানে বর্তমান সরকার এ বছরের ২৭ মার্চ বিশেষ অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক নামে বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম দিকে প্রবাসীদের কল্যাণে বিশেষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করলেও পরে এটি সাধারণ ব্যাংক হিসেবে কাজ করবে।
বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০১১
পাস হলো সিরিয়ায় জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার আইন
ঢাকা (বাংলাটাইমস টুয়েন্টিফোর ডেস্ক) : কয়েক দশক ধরে কার্যকর জরুরি আইন তুলে নিতে নতুন আইন পাস করেছে সিরিয়ায় সরকার। জনগণের চাপের মুখে গত শনিবার জরুরি আইন তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ৷। তারই ধারাবাহিকতায় সেদেশের সরকার জরুরি অবস্থা তুলে নিতে নতুন আইন পাস করেছে। এখন শুধু প্রেসিডেন্ট হিসেবে আসাদ এই আইনে স্বাক্ষর করলেই তা কার্যকর হবে। শুধু তাই নয়, সেদেশের সরকার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আদালত, যেখানে কিনা রাজনৈতিক বন্দিদের বিচার হত, সেটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-বিক্ষোভও অনুমোদন করেছে। তবে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ আয়োজনের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতির প্রয়োজন হবে।
এদিকে, জরুরি আইন প্রত্যাহারের সরকারি সিদ্ধান্ত সিরিয়ার জনগণের জন্য এক বিশাল অর্জন হলেও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বিক্ষোভকারীরা কিন্তু তাদের অবস্থান ত্যাগ করছে না।
অন্যদিকে, সিরিয়ার মানবাধিকার ভঙ্গের যথেষ্ট রেকর্ড রয়েছে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার জানিয়েছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে সিরিয়াকে যোগ করা ঠিক হবে না। এছাড়া সিরিয়ার জরুরি আইন প্রত্যাহারের বিষয়টি পরিষ্কার নয় বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মার্ক টোনার।
এদিকে, জরুরি আইন প্রত্যাহারের সরকারি সিদ্ধান্ত সিরিয়ার জনগণের জন্য এক বিশাল অর্জন হলেও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বিক্ষোভকারীরা কিন্তু তাদের অবস্থান ত্যাগ করছে না।
অন্যদিকে, সিরিয়ার মানবাধিকার ভঙ্গের যথেষ্ট রেকর্ড রয়েছে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার জানিয়েছে, জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে সিরিয়াকে যোগ করা ঠিক হবে না। এছাড়া সিরিয়ার জরুরি আইন প্রত্যাহারের বিষয়টি পরিষ্কার নয় বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মার্ক টোনার।
পদ্মা তীরে অবাধে চলছে মাটি কাটা
ঈশ্বরদী (বাংলাটাইমস টুয়েন্টিফোর ডটকম): ঈশ্বরদীতে পদ্মানদীর গাইড ব্যাংক সংলগ্ন ফসলী জমি থেকে মাটি চুরি করছে রেলের লিজ নেয়া কতিপয় ব্যক্তি। কৃষকদের দাবীর মুখে রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় অফিস থেকে ব্রিজ প্রকৌশলীর পক্ষে আঃ সেলিম রউফ মাটি কাটার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করলেও বন্ধ হয়নি মাটি কাটা। কৃষকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে স্থানীয় থানা প্রশাসন, রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় অফিসের সংশি¬ষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই রেলওয়ের জায়গা থেকে মাটি চুরি করে ইট খোলায় ব্যবহার করা হচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের পদ্মানদী থেকে পাকশী পেপার মিলে পানি সরবরাহের জন্য বসানো পাম্প ষ্টেশনের ২০০ গজ উত্তরে রেলওয়ের জমি থেকে মাটি কাটা চলছে অবাধে। পদ্মানদীর প্রবল স্রোত থেকে ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী, সাহাপুর ইউনিয়ন রক্ষাকারী গাইড ব্যাংক সংলগ্ন ফসলের জমি থেকে ৩৫ জনের একটি দল মাটি কেটে ইট ভাটায় নিয়ে যাচ্ছে।
ট্রাক্টর নামা-উঠার জন্য ঈশ্বরদী শহর রক্ষা বাঁধের একটি অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। জিজ্ঞাসা করলে মাটি কাটা শ্রমিক মোস্তফা ও ভোলা জানান, আমরা শ্রমিক, পেটের দায়ে মাটি কাটতে এসেছি। মাটি সাঁড়া ইউনিয়নের ১টি ভাটায় বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হবে মাটি কাটার শ্রমিক সর্দার সাবদার হোসেন জানান, তারা শ্রমিক। ইউনিয়নের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এসে রেলের এসব জায়গা নিজের বলে জানিয়ে তাদের মাটি কাটার নির্দেশ দেন। আমরা তাঁর নির্দেশেই এখান থেকে মাটি কাটছি। কৃষক কিংবা সরকারের ক্ষতি আমরা বুঝি না। এলাকাবাসী ও মাঠের কৃষকদের সুত্রে জানা যায়, কতিপয় ব্যক্তি রেলওয়ের সরকারী বিভিন্ন জমি থেকে সম্পূর্ন অবৈধভাবে দীর্ঘ ৭/৮ বছর ধরে লাখ লাখ টাকার মাটি কেটে ইট ভাটায় ইট তৈরী করছেন। এসব জমি ভুমিহীন কৃষকদের কাছে রেলওয়ে থেকে লীজ রয়েছে। সেখান থেকেই তারা কৃষকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে মাটি কেটে নিয়ে যান। এই কারনে কৃষকরা বৈধভাবে লীজ নিয়েও ফসল উৎপাদন করতে পারেন না। বারবার কৃষকদের পক্ষ থেকে রেলওয়ের সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালেও অজ্ঞাত কারনে কর্তৃপক্ষ নীরব ভুমিকা পালন করছেন।
এদিকে গাইড ব্যাংক থেকে অপরিকল্পিতভাবে মাটি চুরি করায় পদ্মার ভরা যৌবনের সময় নিশ্চিত বাঁধ ভেঙ্গে ঈশ্বরদীসহ পাকশী ও সাহাপুর ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন সংশি¬ষ্ট এলাকাবাসী। যুক্তিতলা এলাকার মৃত কালু মিয়ার ছেলে কৃষক সেন্টু প্রাং জানান, প্রতিবছরই কৃষকদের লীজ নেওয়া জমি থেকে মাটি কাটা হয়। একারনে তাদেরও প্রায় তিনশত কৃষকের চাষ করা প্রায় সাড়ে ৩শ একর জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। মাটি কাটার নেপথ্যের লোবেরা খুবই প্রভাবশালী। এই কারনে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলে না।
শীত শুরু হওয়ার একমাস আগে ও চৈত্র মাসের শেষ পর্যন্ত এখান থেকে মাটি কাটা হয়। এ সময় মাঠে থাকা শত শত বিঘা জমির ফসল ধুলামাটিতে ঢেকে গিয়ে ফসলের ক্ষতি হয়। তাদের অভিযোগ রেলের সংশি¬ষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজছে এভাবে মাটি লুট করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে চেয়ারম্যান সাহাবুল আলম সরদার এর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি রেলওয়ে থেকে লীজ নিই। ওরা মাটি বিক্রি করে’।
পাকশী বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা কিরণ চন্দ্র সাহা জানান, জমি লীজ দেওয়া হয় শুধুমাত্র কৃষি আবাদের জন্য। মাটি কাটার জন্য নয়। সাহাবুল চেয়ারম্যান অথবা তাদের পরিবারের অন্যান্যদের নামে কোন রকম লীজ নেই। তবে রেলওয়ের ভু সম্পত্তি অফিসের বিশেষ সুত্র জানায়, ইট ভাটার একজন যেখান থেকে মাটি কাটাচ্ছেন সেই জমিটি যুক্তিতলা এলাকার মোশারফের ছেলে পাকশী আমতলার পান দোকানদার খায়রুল ইসলাম লীজ নিয়েছেন বলে তারা শুনেছেন।
ঈশ্বরদী অফিসের রেলওয়ের কানুনগো আমিরুল ইসলাম জানান, খায়রুলের নামে কোন জমি লীজ নেই। তিনি গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তখন সেই দলের নেতারা জোর করে মাটি কাটেন। তারা রেলওয়ের কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে মাটি কাটেন বলে শোনা গেলেও তারা টাকা গ্রহনের অভিযোগ অস্বীকার করেন।
পান দোকানদার খায়রুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওই জমির মালিকানা দাবী করলেও লীজের কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেন নি। তবে তিনি চেয়ারম্যান সাহাবুল আলমের ছোট ভাই এর কাছে ওই জমি মাটি কাটার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বলে জানান।
রেলওয়ের পাকশী ডিভিশনের ডিআরএম একেএম মাহাবুব উল আলম জানান, পদ্মানদী থেকে মাটি কাটার বিষয়ে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু থানা প্রশাসন অজ্ঞাত কারনে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। তবে তিনি এ ব্যাপারে অনৈতিক সুযোগ সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা অবৈধভাবে অনেক কিছুই করতে ও বলতে পারেন।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ সামিউল আলম জানান, মাটি কাটার বিষয়টি রেলওয়ে দায়সারা একটি এজাহার থানায় দিয়ে গেছে। এরপর আর কোন খোঁজ খবর নেই। মাটি কাটার সময় যদি তাঁকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ টেলিফোন কিংবা মোবাইলে জানালে তাৎক্ষনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। কিন্তু তারা তা করছেন না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ জাকির হোসন জানান, জায়গাটি জনগনের নয়। বিষয়টিতে তাঁদের কিছু করার নেই। কারন বিষয়টি সম্পুর্ন রেলওয়ের ব্যাপার।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ পাবনা জেলার সভাপতি শামসুর রহমান শরীফ এমপি জানান, সরকার, কৃষক ও ঊপজেলার লাখ লাখ মানুষের ক্ষতি করে ব্যক্তিগতভাবে কেউ কোটিপতি হবে তা মেনে নেওয়া হবে না। নিজ দলের হোক আর অন্যদলের হোক রাষ্ট্র ও জনগনের ক্ষতির কারন হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের পদ্মানদী থেকে পাকশী পেপার মিলে পানি সরবরাহের জন্য বসানো পাম্প ষ্টেশনের ২০০ গজ উত্তরে রেলওয়ের জমি থেকে মাটি কাটা চলছে অবাধে। পদ্মানদীর প্রবল স্রোত থেকে ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী, সাহাপুর ইউনিয়ন রক্ষাকারী গাইড ব্যাংক সংলগ্ন ফসলের জমি থেকে ৩৫ জনের একটি দল মাটি কেটে ইট ভাটায় নিয়ে যাচ্ছে।
ট্রাক্টর নামা-উঠার জন্য ঈশ্বরদী শহর রক্ষা বাঁধের একটি অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। জিজ্ঞাসা করলে মাটি কাটা শ্রমিক মোস্তফা ও ভোলা জানান, আমরা শ্রমিক, পেটের দায়ে মাটি কাটতে এসেছি। মাটি সাঁড়া ইউনিয়নের ১টি ভাটায় বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হবে মাটি কাটার শ্রমিক সর্দার সাবদার হোসেন জানান, তারা শ্রমিক। ইউনিয়নের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এসে রেলের এসব জায়গা নিজের বলে জানিয়ে তাদের মাটি কাটার নির্দেশ দেন। আমরা তাঁর নির্দেশেই এখান থেকে মাটি কাটছি। কৃষক কিংবা সরকারের ক্ষতি আমরা বুঝি না। এলাকাবাসী ও মাঠের কৃষকদের সুত্রে জানা যায়, কতিপয় ব্যক্তি রেলওয়ের সরকারী বিভিন্ন জমি থেকে সম্পূর্ন অবৈধভাবে দীর্ঘ ৭/৮ বছর ধরে লাখ লাখ টাকার মাটি কেটে ইট ভাটায় ইট তৈরী করছেন। এসব জমি ভুমিহীন কৃষকদের কাছে রেলওয়ে থেকে লীজ রয়েছে। সেখান থেকেই তারা কৃষকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে মাটি কেটে নিয়ে যান। এই কারনে কৃষকরা বৈধভাবে লীজ নিয়েও ফসল উৎপাদন করতে পারেন না। বারবার কৃষকদের পক্ষ থেকে রেলওয়ের সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালেও অজ্ঞাত কারনে কর্তৃপক্ষ নীরব ভুমিকা পালন করছেন।
এদিকে গাইড ব্যাংক থেকে অপরিকল্পিতভাবে মাটি চুরি করায় পদ্মার ভরা যৌবনের সময় নিশ্চিত বাঁধ ভেঙ্গে ঈশ্বরদীসহ পাকশী ও সাহাপুর ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন সংশি¬ষ্ট এলাকাবাসী। যুক্তিতলা এলাকার মৃত কালু মিয়ার ছেলে কৃষক সেন্টু প্রাং জানান, প্রতিবছরই কৃষকদের লীজ নেওয়া জমি থেকে মাটি কাটা হয়। একারনে তাদেরও প্রায় তিনশত কৃষকের চাষ করা প্রায় সাড়ে ৩শ একর জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। মাটি কাটার নেপথ্যের লোবেরা খুবই প্রভাবশালী। এই কারনে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলে না।
শীত শুরু হওয়ার একমাস আগে ও চৈত্র মাসের শেষ পর্যন্ত এখান থেকে মাটি কাটা হয়। এ সময় মাঠে থাকা শত শত বিঘা জমির ফসল ধুলামাটিতে ঢেকে গিয়ে ফসলের ক্ষতি হয়। তাদের অভিযোগ রেলের সংশি¬ষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজছে এভাবে মাটি লুট করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে চেয়ারম্যান সাহাবুল আলম সরদার এর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি রেলওয়ে থেকে লীজ নিই। ওরা মাটি বিক্রি করে’।
পাকশী বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা কিরণ চন্দ্র সাহা জানান, জমি লীজ দেওয়া হয় শুধুমাত্র কৃষি আবাদের জন্য। মাটি কাটার জন্য নয়। সাহাবুল চেয়ারম্যান অথবা তাদের পরিবারের অন্যান্যদের নামে কোন রকম লীজ নেই। তবে রেলওয়ের ভু সম্পত্তি অফিসের বিশেষ সুত্র জানায়, ইট ভাটার একজন যেখান থেকে মাটি কাটাচ্ছেন সেই জমিটি যুক্তিতলা এলাকার মোশারফের ছেলে পাকশী আমতলার পান দোকানদার খায়রুল ইসলাম লীজ নিয়েছেন বলে তারা শুনেছেন।
ঈশ্বরদী অফিসের রেলওয়ের কানুনগো আমিরুল ইসলাম জানান, খায়রুলের নামে কোন জমি লীজ নেই। তিনি গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তখন সেই দলের নেতারা জোর করে মাটি কাটেন। তারা রেলওয়ের কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে মাটি কাটেন বলে শোনা গেলেও তারা টাকা গ্রহনের অভিযোগ অস্বীকার করেন।
পান দোকানদার খায়রুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওই জমির মালিকানা দাবী করলেও লীজের কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেন নি। তবে তিনি চেয়ারম্যান সাহাবুল আলমের ছোট ভাই এর কাছে ওই জমি মাটি কাটার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বলে জানান।
রেলওয়ের পাকশী ডিভিশনের ডিআরএম একেএম মাহাবুব উল আলম জানান, পদ্মানদী থেকে মাটি কাটার বিষয়ে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু থানা প্রশাসন অজ্ঞাত কারনে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। তবে তিনি এ ব্যাপারে অনৈতিক সুযোগ সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা অবৈধভাবে অনেক কিছুই করতে ও বলতে পারেন।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ সামিউল আলম জানান, মাটি কাটার বিষয়টি রেলওয়ে দায়সারা একটি এজাহার থানায় দিয়ে গেছে। এরপর আর কোন খোঁজ খবর নেই। মাটি কাটার সময় যদি তাঁকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ টেলিফোন কিংবা মোবাইলে জানালে তাৎক্ষনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। কিন্তু তারা তা করছেন না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ জাকির হোসন জানান, জায়গাটি জনগনের নয়। বিষয়টিতে তাঁদের কিছু করার নেই। কারন বিষয়টি সম্পুর্ন রেলওয়ের ব্যাপার।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ পাবনা জেলার সভাপতি শামসুর রহমান শরীফ এমপি জানান, সরকার, কৃষক ও ঊপজেলার লাখ লাখ মানুষের ক্ষতি করে ব্যক্তিগতভাবে কেউ কোটিপতি হবে তা মেনে নেওয়া হবে না। নিজ দলের হোক আর অন্যদলের হোক রাষ্ট্র ও জনগনের ক্ষতির কারন হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাঈদীর জামিন আবেদন নাকচ: বাকিদের শুনানী কাল
ঢাকা (বাংলাটাইমস টুয়েন্টিফোর ডটকম): মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত অভিযোগে আটক জামাত নেতা সাঈদীর জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। একই সাথে সাঈদী বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আগামী
৩১ মে মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। নিজামী, মুজাহিদ, কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে শুনানি কাল বৃহষ্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের বেঞ্চে এ রায় দেন।
এর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে জামাতের ৪ নেতাকে প্রিজন ভ্যানে করে পুরাতন হাইকোর্ট ভবন এলাকায় স্থাপিত ট্রাইবুনালে আনা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় থাকার পর তাদের এজলাসে নেয়া হয়। পরে জামাতের আরেক নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে পৌনে ১১টার দিকে ট্রাইবুনালে হাজির করা হয়। নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে হাজির করার পর মুজাহিদকেও এজলাসে নেয়া হয়।
৩১ মে মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। নিজামী, মুজাহিদ, কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে শুনানি কাল বৃহষ্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের বেঞ্চে এ রায় দেন।
এর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে জামাতের ৪ নেতাকে প্রিজন ভ্যানে করে পুরাতন হাইকোর্ট ভবন এলাকায় স্থাপিত ট্রাইবুনালে আনা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় থাকার পর তাদের এজলাসে নেয়া হয়। পরে জামাতের আরেক নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে পৌনে ১১টার দিকে ট্রাইবুনালে হাজির করা হয়। নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে হাজির করার পর মুজাহিদকেও এজলাসে নেয়া হয়।
আজ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ এর ৪০ তম মৃত্যুবার্ষিকী
ফরিদপুর (বাংলাটাইমস টুয়েন্টিফোর ডটকম): আজ ২০ এপ্রিল। বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ এর ৪০ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই দিনে বর্তমান রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর থানার
বুড়িঘাটতে পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে মুখোমুখি যুদ্ধের সময় তিনি নিহত হন। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তার মহান আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরুপ তাকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। দিনটি উপলক্ষে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক উদ্যোগে দিনব্যাপী কোরান খানী, মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
মুন্সী মেহেদী হাসান ও মকিদুননেছার একমাত্র পুত্র সন্তান মুন্সী আব্দুর রউফ ১৯৪৩ সালের মে মাসে বর্তমান মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের সালামাতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১১ বছর বয়সে তাঁর পিতৃবিয়োগ ঘটে। এর পর আর্থিক অনটনের কারনে লেখাপড়া সম্ভব না হওয়ায় তিনি তৎকালীন ইপিআর এ ১৯৬৩ সালের ৮ মে সৈনিক পদে যোগদান করেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ১৩১৮৭। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি তার উইংয়ে কর্মরত অবস্থায় ৮ম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন এবং তিনি মেশিন গানার হিসেবে ৮ নম্বর সেক্টর কমান্ডারের অধীনে রাঙ্গামাটির মহালছড়ি নৌপথ অঞ্চলে বুড়িঘাট নামক স্থানে চিংড়িখালের প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন। ‘৭১ এর ২০ এপ্রিল পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ সমরে মুন্সী আব্দুর রউফের মেশিন গানের গুলিতে পাকবাহিনীর ২টি লঞ্চ, একটি ¯প্রীডবোড ডুবে পাকবাহিনীর দুই প¬াটুন সৈন্যের সলিল সমাধি ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষের নিক্ষিপ্ত মটার সেলের আঘাতে তিনি শহীদ হন। ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ শহীদ হবার দীর্ঘ ২৫ বছর পর ১৯৯৬ সালে বুড়িঘাট নিবাসী জ্যোতিষ চন্দ্র চাকমা ও দয়াল কৃঞ্চ চাকমার সহায়তায় বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ এর কবরের স্থান সনাক্ত করতে সক্ষম হন সরকার। ১৯৯৭ সালে সেখানে একটি স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। বিগত ২০০৮ সালে ২৮ মে তার নিজগ্রাম সালামাতপুরের নাম রউফ নগর রাখা হয়। ওই বছরেই তার নামে নিজ গ্রাম রউফ নগরে স্থানীীয় সরকার সমবায় মন্ত্রনালয় এর অধীন ফরিদপুর জেলা পরিষদের ত্বাবধানে প্রায় ৬৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতি যাদুঘর ও গ্রন্থগার নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া তার নামে এলাকায় কামারখালী বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজ যা সম্প্রতি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি করণের ঘোষনা দেন। গন্ধখালী বীরশ্রেষ্ঠ উচ্চ বিদ্যালয়, সাভারে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ গেট, ঢাকায় বীরশ্রেষ্ট মুন্সী আব্দুর রউফ রাইফেলস স্কুল এন্ড কলেজ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাঁর নামে প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
বুড়িঘাটতে পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে মুখোমুখি যুদ্ধের সময় তিনি নিহত হন। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তার মহান আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরুপ তাকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। দিনটি উপলক্ষে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক উদ্যোগে দিনব্যাপী কোরান খানী, মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
মুন্সী মেহেদী হাসান ও মকিদুননেছার একমাত্র পুত্র সন্তান মুন্সী আব্দুর রউফ ১৯৪৩ সালের মে মাসে বর্তমান মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের সালামাতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১১ বছর বয়সে তাঁর পিতৃবিয়োগ ঘটে। এর পর আর্থিক অনটনের কারনে লেখাপড়া সম্ভব না হওয়ায় তিনি তৎকালীন ইপিআর এ ১৯৬৩ সালের ৮ মে সৈনিক পদে যোগদান করেন। তার সৈনিক নম্বর ছিল ১৩১৮৭। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি তার উইংয়ে কর্মরত অবস্থায় ৮ম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন এবং তিনি মেশিন গানার হিসেবে ৮ নম্বর সেক্টর কমান্ডারের অধীনে রাঙ্গামাটির মহালছড়ি নৌপথ অঞ্চলে বুড়িঘাট নামক স্থানে চিংড়িখালের প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন। ‘৭১ এর ২০ এপ্রিল পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ সমরে মুন্সী আব্দুর রউফের মেশিন গানের গুলিতে পাকবাহিনীর ২টি লঞ্চ, একটি ¯প্রীডবোড ডুবে পাকবাহিনীর দুই প¬াটুন সৈন্যের সলিল সমাধি ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষের নিক্ষিপ্ত মটার সেলের আঘাতে তিনি শহীদ হন। ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ শহীদ হবার দীর্ঘ ২৫ বছর পর ১৯৯৬ সালে বুড়িঘাট নিবাসী জ্যোতিষ চন্দ্র চাকমা ও দয়াল কৃঞ্চ চাকমার সহায়তায় বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ এর কবরের স্থান সনাক্ত করতে সক্ষম হন সরকার। ১৯৯৭ সালে সেখানে একটি স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। বিগত ২০০৮ সালে ২৮ মে তার নিজগ্রাম সালামাতপুরের নাম রউফ নগর রাখা হয়। ওই বছরেই তার নামে নিজ গ্রাম রউফ নগরে স্থানীীয় সরকার সমবায় মন্ত্রনালয় এর অধীন ফরিদপুর জেলা পরিষদের ত্বাবধানে প্রায় ৬৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতি যাদুঘর ও গ্রন্থগার নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া তার নামে এলাকায় কামারখালী বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজ যা সম্প্রতি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি করণের ঘোষনা দেন। গন্ধখালী বীরশ্রেষ্ঠ উচ্চ বিদ্যালয়, সাভারে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ গেট, ঢাকায় বীরশ্রেষ্ট মুন্সী আব্দুর রউফ রাইফেলস স্কুল এন্ড কলেজ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাঁর নামে প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন কাস্ত্রো
ঢাকা (বাংলাটাইমস টুয়েন্টিফোর ডেস্ক): কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রো চার দশকের বেশি সময় ধরে রাখা দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন। তিনি তার নিজ দলে নতুন মুখ দেখতে চান। ৮৪ বছর বয়সি কাস্ত্রো ১৯৬৫ সালে কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠার সময় থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দলের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালে কাস্ট্রো নিজের শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে উভয় পদ থেকে সরে দাঁড়ান। দায়িত্ব হস্তান্তর করেন ভাই রাউল কাস্ট্রোর কাছে। তবে এবার বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সংস্কারের সুর ওঠার পর কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যেও সংস্কারের ডাক শোনা যায়।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি দলের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদেও থাকবেন না বলে নিশ্চিত করেন।
আর এর ফলে হাভানায় শনিবার থেকে শুরু হওয়া কমিউনিস্ট পার্টির চার দিনের কেন্দ্রীয় পরিষদের সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব মনোনয়ন করতে যাচ্ছে দলের সদস্যরা। ৮০ বছর বয়সি রাউল কাস্ট্রো দলটির প্রধান হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। অবশ্য সম্মেলনের শুরুতেই রাউল কাস্ট্রো দলীয় প্রধানের পদের জন্য সর্বোচ্চ ১০ বছরের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। দলটির ইতিহাসে এটিই ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় এক হাজার প্রতিনিধি যোগ দিচ্ছেন এই বৈঠকে।
উল্লেখ্য, এতোদিন ধরে প্রায় সবকিছুই রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত এবং পরিচালিত থাকলেও ধীরে ধীরে ব্যক্তি মালিকানাধীন উদ্যোগকে অনুমোদন দিচ্ছে কিউবা। গত মার্চ পর্যন্ত প্রায় এক কোটি বারো লাখ উদ্যোক্তাকে ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রত্যাশা ২০১৫ সাল নাগাদ আরো প্রায় ২০ লাখ মানুষ বেসরকারি খাতের সাথে যুক্ত হবে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি দলের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদেও থাকবেন না বলে নিশ্চিত করেন।
আর এর ফলে হাভানায় শনিবার থেকে শুরু হওয়া কমিউনিস্ট পার্টির চার দিনের কেন্দ্রীয় পরিষদের সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব মনোনয়ন করতে যাচ্ছে দলের সদস্যরা। ৮০ বছর বয়সি রাউল কাস্ট্রো দলটির প্রধান হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। অবশ্য সম্মেলনের শুরুতেই রাউল কাস্ট্রো দলীয় প্রধানের পদের জন্য সর্বোচ্চ ১০ বছরের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। দলটির ইতিহাসে এটিই ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় এক হাজার প্রতিনিধি যোগ দিচ্ছেন এই বৈঠকে।
উল্লেখ্য, এতোদিন ধরে প্রায় সবকিছুই রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত এবং পরিচালিত থাকলেও ধীরে ধীরে ব্যক্তি মালিকানাধীন উদ্যোগকে অনুমোদন দিচ্ছে কিউবা। গত মার্চ পর্যন্ত প্রায় এক কোটি বারো লাখ উদ্যোক্তাকে ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রত্যাশা ২০১৫ সাল নাগাদ আরো প্রায় ২০ লাখ মানুষ বেসরকারি খাতের সাথে যুক্ত হবে।
মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১১
জলবায়ু পরিবর্তনে বহু লোক উদ্বাস্তু হতে পারে : প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা (বাংলাটাইমস টুয়েন্টিফোর ডটকম): প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট আন্তঃসীমান্ত অভিবাসন ও আভ্যন্তরীণ স্থানান্তর প্রতিরোধে জাতিসংঘের অধীনে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ
করেন। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে বিপুলসংখ্যক লোক উদ্বাস্তুতে পরিণত হতে পারে। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা জাতিসংঘের অধীনে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা চাই।’
সফররত ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (ওআইএম)’র মহাপরিচালক উইলিয়াম লেসি সুইং আজ সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, বৈঠককালে উভয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসন ইস্যু এবং নারী ও শিশু পাচার বিরোধী আইন তৈরিতে বাংলাদেশকে ওআইএম’এর সহায়তায়তার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
ঢাকায় আগামীকাল চতুর্থ কলম্বো প্রসেসের মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠক শুরু হওয়ার প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা, নিয়মতান্ত্রিক অভিবাসন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ্বতা ও অভিবাসনের পারস্পরিক স্বার্থ সম্প্রসারণে সম্মেলন থেকে একটি বলিষ্ঠ ঘোষণা আসবে। বিদেশে কর্মসংস্থান ও চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক নিয়োগ বিষয়ক এশিয়ার জনশক্তি রপ্তানীকারক ১১টি দেশ কলম্বো প্রসেসের উদ্যোক্তা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সম্মেলনে অভিবাসীদের সমস্যা চিহ্নিত এবং এসব সমস্যা সমাধানে ঐক্যবদ্ধ চেতনার আলোকে নতুন উপায় খুঁজে বের করা হবে বলে তিনি দৃঢ় আস্থা ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, সম্মেলনে প্রান্তিকীকরণ ঠেকাতে ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্ষতিপূরণের শর্তসহ যথাযথ ‘এমার্জেন্সি এভাকুয়েশান ফ্রেমওয়ার্ক’ গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার নিরাপদ অভিবাসন ও অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতকরণের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কাস কনভেনশন অনুমোদন, অভিবাসনের খরচ কমাতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা ও ফিরে আসা প্রবাসীদের থিতু হতে সহায়তায় এর প্রমাণ মেলে।
আলোচনার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধ এবং বর্তমানে লিবিয়া থেকে ৩৫ হাজার বাংলাদেশীর ২৭ হাজারকে দেশে ফিরিয়ে আনায় সহায়তার জন্য ওআইএমকে ধন্যবাদ জানান।
উইলিয়াম লেসি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য ও দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং লিবিয়ায় বাংলাদেশী শ্রমিকদের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান।
অন্যান্যের মধ্যে অ্যাম্বাসেডার এট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম এ করিম ও প্রেস সচিব আবুল কালাম আাজাদ এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন। (বাসস)
করেন। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে বিপুলসংখ্যক লোক উদ্বাস্তুতে পরিণত হতে পারে। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা জাতিসংঘের অধীনে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা চাই।’
সফররত ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (ওআইএম)’র মহাপরিচালক উইলিয়াম লেসি সুইং আজ সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, বৈঠককালে উভয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসন ইস্যু এবং নারী ও শিশু পাচার বিরোধী আইন তৈরিতে বাংলাদেশকে ওআইএম’এর সহায়তায়তার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
ঢাকায় আগামীকাল চতুর্থ কলম্বো প্রসেসের মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠক শুরু হওয়ার প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা, নিয়মতান্ত্রিক অভিবাসন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ্বতা ও অভিবাসনের পারস্পরিক স্বার্থ সম্প্রসারণে সম্মেলন থেকে একটি বলিষ্ঠ ঘোষণা আসবে। বিদেশে কর্মসংস্থান ও চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক নিয়োগ বিষয়ক এশিয়ার জনশক্তি রপ্তানীকারক ১১টি দেশ কলম্বো প্রসেসের উদ্যোক্তা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সম্মেলনে অভিবাসীদের সমস্যা চিহ্নিত এবং এসব সমস্যা সমাধানে ঐক্যবদ্ধ চেতনার আলোকে নতুন উপায় খুঁজে বের করা হবে বলে তিনি দৃঢ় আস্থা ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, সম্মেলনে প্রান্তিকীকরণ ঠেকাতে ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্ষতিপূরণের শর্তসহ যথাযথ ‘এমার্জেন্সি এভাকুয়েশান ফ্রেমওয়ার্ক’ গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার নিরাপদ অভিবাসন ও অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতকরণের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কাস কনভেনশন অনুমোদন, অভিবাসনের খরচ কমাতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা ও ফিরে আসা প্রবাসীদের থিতু হতে সহায়তায় এর প্রমাণ মেলে।
আলোচনার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধ এবং বর্তমানে লিবিয়া থেকে ৩৫ হাজার বাংলাদেশীর ২৭ হাজারকে দেশে ফিরিয়ে আনায় সহায়তার জন্য ওআইএমকে ধন্যবাদ জানান।
উইলিয়াম লেসি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য ও দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং লিবিয়ায় বাংলাদেশী শ্রমিকদের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান।
অন্যান্যের মধ্যে অ্যাম্বাসেডার এট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম এ করিম ও প্রেস সচিব আবুল কালাম আাজাদ এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন। (বাসস)
সাকাকে সেফ হোমে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি
ঢাকা (বাংলাটাইমস টুয়েন্টিফোর ডটকম): ১৯৭১ এ মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে সেফ হোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই
সাথে আগামী ১৯ জুনের মধ্যে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতেও নির্দেশ দিয়েছেন।
বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। আদালত সাকা চৌধুরীকে সেফ হোমে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করতে তদন্ত সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন। এসময় কেন্দ্রীয় কারাগারের একজন চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে প্রায় আধ ঘন্টা শুনানি গ্রহণ করেন আদালত।আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের সামনে হাজির করা হয়। আদালতের কার্যক্রম শুরুর পর প্রসিকিউশনের পক্ষে জেয়াদ আল মালুম বলেন, একাত্তরে সাকা চৌধুরীর মানবতা বিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব বিষয়ে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে তিনদিন তদন্ত সংস্থার হেফাজতে নেয়ার আবেদন করেন তিনি।
ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের বেঞ্চে এই শুনানি চলছে। এর আগে তদন্ত সংস্থা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে গত ২৩ মার্চ আবেদন করে।
সকাল সোয়া ১১টার দিকে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে পুরনো হাইকোর্ট ভবনে স্থাপিত ট্রাইবুনালে আনা হয়।
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর সাকা চৌধুরীকে রাজধানীর বনানীর একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুষ্ঠু ও কার্যকর তদন্তের স্বার্থে ১৫ ডিসেম্বর তাকে গ্রেপ্তার রাখার নির্দেশনা চেয়ে তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে আইনজীবীদের মাধ্যমে ট্রাইবুনালে একটি আবেদন করা হয়েছিল। পরে ১৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে এই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে এবং তাকে ৩০ ডিসেম্বর ট্রাইবুনালে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিল। সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৭১-এ চট্টগ্রামের রাউজানে কুণ্ডেশ্বরী ঔষাধালয়ের মালিক নতুন চন্দ্র সিংহকে হত্যার অভিযোগ ছাড়াও গণহত্যায় মদদ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সাথে আগামী ১৯ জুনের মধ্যে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতেও নির্দেশ দিয়েছেন।
বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। আদালত সাকা চৌধুরীকে সেফ হোমে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করতে তদন্ত সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন। এসময় কেন্দ্রীয় কারাগারের একজন চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে প্রায় আধ ঘন্টা শুনানি গ্রহণ করেন আদালত।আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের সামনে হাজির করা হয়। আদালতের কার্যক্রম শুরুর পর প্রসিকিউশনের পক্ষে জেয়াদ আল মালুম বলেন, একাত্তরে সাকা চৌধুরীর মানবতা বিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব বিষয়ে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে তিনদিন তদন্ত সংস্থার হেফাজতে নেয়ার আবেদন করেন তিনি।
ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের বেঞ্চে এই শুনানি চলছে। এর আগে তদন্ত সংস্থা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে গত ২৩ মার্চ আবেদন করে।
সকাল সোয়া ১১টার দিকে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে পুরনো হাইকোর্ট ভবনে স্থাপিত ট্রাইবুনালে আনা হয়।
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর সাকা চৌধুরীকে রাজধানীর বনানীর একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুষ্ঠু ও কার্যকর তদন্তের স্বার্থে ১৫ ডিসেম্বর তাকে গ্রেপ্তার রাখার নির্দেশনা চেয়ে তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে আইনজীবীদের মাধ্যমে ট্রাইবুনালে একটি আবেদন করা হয়েছিল। পরে ১৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে এই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে এবং তাকে ৩০ ডিসেম্বর ট্রাইবুনালে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিল। সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৭১-এ চট্টগ্রামের রাউজানে কুণ্ডেশ্বরী ঔষাধালয়ের মালিক নতুন চন্দ্র সিংহকে হত্যার অভিযোগ ছাড়াও গণহত্যায় মদদ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংকের ঋণে লিবিয়া ফেরতদের সহায়তা
ঢাকা (বাংলাটাইমস টুয়েন্টিফোর ডটকম): বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সহজ শর্তে ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মূদ্রায় অন্তত ২৯০ কোটি টাকা) ঋণ দেবে। এ অর্থ থেকে লিবিয়া প্রত্যাগত বাংলাদেশি কর্মীর পরিবহন ব্যয় বাবদ আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার (আইওএম) পাওনাও পরিশোধ করা হবে। এ তথ্য জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। লিবিয়া থেকে ফিরে আসা ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি কর্মীদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার জন্য ন্যুনতম ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেবে সরকার।
আজ সোমবার সচিবালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। মন্ত্রী পর্যায়ে দু’দিনের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে লিবিয়ার শ্রমবাজারসহ আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং অভিবাসীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ।
লিবিয়া ফেরৎ ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি অভিবাসীদের পুনর্বাসন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এসব শ্রমিকের তালিকা সরকারের কাছে রয়েছে। এদের মধ্যে যারা আবারো বিদেশে যেতে চায়, তাদের বাছাই করে আগামী ছয় মাসের মধ্যেই বিভিন্ন দেশে পাঠানো হবে। এখন দৈনিক এক হাজার ৫০০ কর্মী বিদেশে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে লিবিয়া ফেরৎ ব্যক্তিরা অগ্রাধিকার পাবে।
অন্যদের মধ্যে ব্যবসা করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে ঋণ দেয়া হবে। এতে সুদের হার হবে মাত্র নয় শতাংশ। এজন্য ওয়েজ আর্নার্স তহবিল থেকে ৯৫ কোটি এবং সরকারি মঞ্জুরি বাবদ পাঁচ কোটি টাকা নিয়ে অচিরেই প্রবাসী কল্যাণ ব্যংকের যাত্রা শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ব্যাংকের কার্যকরি মূলধন ৪০০ কোটি টাকা করা হবে, জানান তিনি।
লিবিয়া থেকে বাংলাদেশি কর্মীদের প্রত্যাবাসন ব্যয় মেটানোর বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছানোর দাবি করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এজন্য জনপ্রতি এক হাজার ২৬০ মার্কিন ডলার করে আইওএম’কে দেওয়া হবে। তবে তারা মাত্র ১০ হাজার কর্মীর পরিবহণ ব্যয় নেবে। বাকী ১৯ হাজারের পরিবহণ ব্যয় তারা নেবে না। সংস্থাটি এ পর্যন্ত ২৯ হাজার কর্মী পরিবহন করেছে।
প্রবাসী কল্যাণ সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক খোরশেদ আলম চৌধুরী ও মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব আসাদুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে বাংলাদেশ সফররত আইওএম’র প্রধান নির্বাহী ও রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম লেসি সুইং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করেন।
মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশি কর্মীদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সম্পর্কে উইলিয়াম লেসি বলেন, আইওএম এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের কর্মীদের লিবিয়া থেকে প্রত্যাবাসনকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশের প্রায় ৬০ থেকে ৮০ হাজার কর্মী ছিল। এরমধ্যে ৩৩ হাজার কর্মী ফিরে এসেছে। অন্যদেরও ফেরানোর কাজ চলছে।
এখনো পুনর্বাসনের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যদি এমন কোন সিদ্ধান্ত হয়, সেক্ষেত্রে বিশ্বের প্রায় ৪১টি দেশের অন্য কর্মীদের মতো বাংলাদেশি কর্মীরাও পুনর্বাসনের সুযোগ পাবে।
লিবিয়ায় এখনো আটক বাংলাদেশিদের উদ্ধারে পদক্ষেপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশটিতে এখনো যুদ্ধ চলছে। তাই এখনো তাদের অবস্থান সম্পর্কে আমরা ঠিকমতো কিছুই জানি না। আমাদের সেখানেই কিছুই করার নেই। তবে যারা বিভিন্নভাবে সীমান্ত এলাকার আশ্রয় কেন্দ্রে আসছে, তাদের প্রত্যাবাসনে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আজ সোমবার সচিবালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। মন্ত্রী পর্যায়ে দু’দিনের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে লিবিয়ার শ্রমবাজারসহ আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং অভিবাসীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ।
লিবিয়া ফেরৎ ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি অভিবাসীদের পুনর্বাসন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এসব শ্রমিকের তালিকা সরকারের কাছে রয়েছে। এদের মধ্যে যারা আবারো বিদেশে যেতে চায়, তাদের বাছাই করে আগামী ছয় মাসের মধ্যেই বিভিন্ন দেশে পাঠানো হবে। এখন দৈনিক এক হাজার ৫০০ কর্মী বিদেশে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে লিবিয়া ফেরৎ ব্যক্তিরা অগ্রাধিকার পাবে।
অন্যদের মধ্যে ব্যবসা করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে ঋণ দেয়া হবে। এতে সুদের হার হবে মাত্র নয় শতাংশ। এজন্য ওয়েজ আর্নার্স তহবিল থেকে ৯৫ কোটি এবং সরকারি মঞ্জুরি বাবদ পাঁচ কোটি টাকা নিয়ে অচিরেই প্রবাসী কল্যাণ ব্যংকের যাত্রা শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ব্যাংকের কার্যকরি মূলধন ৪০০ কোটি টাকা করা হবে, জানান তিনি।
লিবিয়া থেকে বাংলাদেশি কর্মীদের প্রত্যাবাসন ব্যয় মেটানোর বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছানোর দাবি করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এজন্য জনপ্রতি এক হাজার ২৬০ মার্কিন ডলার করে আইওএম’কে দেওয়া হবে। তবে তারা মাত্র ১০ হাজার কর্মীর পরিবহণ ব্যয় নেবে। বাকী ১৯ হাজারের পরিবহণ ব্যয় তারা নেবে না। সংস্থাটি এ পর্যন্ত ২৯ হাজার কর্মী পরিবহন করেছে।
প্রবাসী কল্যাণ সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক খোরশেদ আলম চৌধুরী ও মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব আসাদুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে বাংলাদেশ সফররত আইওএম’র প্রধান নির্বাহী ও রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম লেসি সুইং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করেন।
মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশি কর্মীদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সম্পর্কে উইলিয়াম লেসি বলেন, আইওএম এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের কর্মীদের লিবিয়া থেকে প্রত্যাবাসনকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশের প্রায় ৬০ থেকে ৮০ হাজার কর্মী ছিল। এরমধ্যে ৩৩ হাজার কর্মী ফিরে এসেছে। অন্যদেরও ফেরানোর কাজ চলছে।
এখনো পুনর্বাসনের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যদি এমন কোন সিদ্ধান্ত হয়, সেক্ষেত্রে বিশ্বের প্রায় ৪১টি দেশের অন্য কর্মীদের মতো বাংলাদেশি কর্মীরাও পুনর্বাসনের সুযোগ পাবে।
লিবিয়ায় এখনো আটক বাংলাদেশিদের উদ্ধারে পদক্ষেপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশটিতে এখনো যুদ্ধ চলছে। তাই এখনো তাদের অবস্থান সম্পর্কে আমরা ঠিকমতো কিছুই জানি না। আমাদের সেখানেই কিছুই করার নেই। তবে যারা বিভিন্নভাবে সীমান্ত এলাকার আশ্রয় কেন্দ্রে আসছে, তাদের প্রত্যাবাসনে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)